Honey

মৌমাছির বাসা

মৌমাছির বাসা

মৌমাছি যে বাসায় থাকে তা অনেকগুলো চাকের সমষ্টি। এ চাকগুলো একের সঙ্গে অন্যটি সমান্তরালভাবে অবস্থান করে। প্রতিটি চাকেই অসংখ্য প্রকোষ্ঠ রয়েছে। প্রকোষ্ঠ ষড়ভুজ আকৃতির। এসব প্রকোষ্ঠে বাচ্চা মৌমাছিরা বড় হয় এবং মধু ও পরাগরেণু জমা থাকে। প্রকোষ্ঠ মোম দিয়ে তৈরী। শ্রমিক মৌমাছির গায়ের মোমগ্রন্থি থেকে এ মোম নিঃসৃত হয়।

মোম ছাড়াও বাসা নির্মাণে শ্রমিক মৌমাছি রেসিন জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে। গাছের কুঁড়ি ও অন্যান্য অংশ থেকে এ পদার্থ যোগার করা হয়। এ পদার্থকে বলা হয় প্রোপোলিজ। এর ব্যবহারের ফলে বাসার গঠন শক্ত হয়। মৌমাছির শরীরের আকার ও আয়তন অনুযায়ী প্রকোষ্ঠ গুলি নির্মাণ করা হয়। রাণীর জন্য বেশ বড় প্রকোষ্ঠ নির্মাণ করা হয়। শ্রমিকদের জন্য নির্মিত প্রকোষ্ঠগুলির আকার মাঝারী।

সাধারণত মৌচাকের উপরের দিকে প্রকোষ্ঠগুলোতে মধু জমা থাকে। আর নিচের প্রকোষ্ঠ গুলোতে ডিম এবং বাচ্চা জন্মায়। মৌচাকে তীব্র খাদ্যাভাব দেখা দিলে শ্রমিক মৌমাছিরা অন্য মৌচাক থেকেও মধু চুরি করে আনে। এরা অন্য মৌচাকের আশেপাশে ঘুরঘুর করে এবং সুযোগ পেলেই চাকের মধু নিয়ে সটকে পড়ে। অনেক সময় সদল বলে আক্রমণ করে শক্তি দিয়ে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে পুরো চাক দখল করে নেয়।

 

খাঁটি সুন্দরবনের মধু কিনতে ভিজিট করুন: ‍Pure-Honey

About Author

SatkhiraShop