Honey

মধু ব্যবহার করার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে নিন

মধু ব্যবহার করার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে নিন

মধু যখন ক্ষতিকর
প্রাচীনকালে নবজাতককে মধু দিয়ে বরণ করা হতো। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞান কোনোভাবেই সদ্যজাত শিশুর মুখে মধু দিতে রাজি নয়। বিশেষ করে এক বছরের কম বয়সীদের জন্য মধু ক্ষতিকর। কাঁচা মধুতে বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এতে শিশু বিষক্রিয়ার শিকার হতে পারে। তবে বয়স বেশি হলে ক্ষতির মাত্রা এড়ানো যায়। কারণ, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের হজম ক্ষমতা বাড়তে থাকে।

মধু বনাম চিনি
এক টেবিল চামচ মধুতে আছে ৬৪ ক্যালোরি। এতে কোনো ফ্যাট নেই। থাকে না কোলেস্টেরল বা সোডিয়াম। আছে ৮০ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট আর ১৮ শতাংশ পানি। বাকি ২ শতাংশ ভিটামিন, খনিজ ও অ্যামাইনো এসিড। আর সমপরিমাণ চিনিতে আছে ৪৮ ক্যালোরি। মধুকে চিনির চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর বলা হয়। কারণ মধুতে সুগার অনেক কম।

মধু যখন ওষুধ
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, আয়ুর্বেদ চিকিৎসার অন্যতম উপকরণ মধু। এতে অ্যান্টি-সেপটিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে।

১. উষ্ণ দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ঘুম হয়।
২.অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় পোড়া বা কেটে গেলে মধু বেশ উপকারী।
৩.খুশখুশে কাশি উপশমে লেবু বা আদার সঙ্গে মধু দারুণ কার্যকর।
৪.বয়স্কদের দেহে মধু শক্তি ও উষ্ণতা জোগায়।
৫.হজমে সহায়ক মধু। পাকস্থলীর যত্নও নেয়।
৬.মুখের নানা জীবাণু ধ্বংস করে।

দৈনন্দিন জীবনে মধু
১.হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খাওয়া ভালো। খালি পেটে খেলে এসিডিটি কমে।
২.পাউরুটির সঙ্গে জ্যাম বা জেলির পরিবর্তে মধু বেশি উপকারী।
৩.রূপচর্চায় চিনির পরিবর্তে মধু বেছে নিন।
৪.পানীয়কে মিষ্টি করতে কেবল মধু ব্যবহার করা ভালো।
৫.মিষ্টিজাতীয় খাবারে অতিরিক্ত পুষ্টি জোগায়।
৬.শ্যাম্পু করার পর মধু মেশানো পানি দিলে চুল চকচকে হয়।
৭.হালকা গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়ালে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

About Author

SatkhiraShop